পরকিয়া প্রেম : প্রচলিত ধারণা ও বাস্তবতা

 

পরকিয়া কি?

বিবাহিত নারী পুরুষ যখন অন্য পুরুষ ও নারীর সাথে প্রেম করে তখন তাকে বলে পরকিয়া।

 

উদ্দেশ্য :

পরকিয়া প্রেমের একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে যৌনতা, অবৈধ সহবাস তথা অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকা।

 

পদ্ধতি:

নিজের স্বামী বা স্ত্রীকে ফাঁকি দিয়ে, সমাজের চোখে ধুলো দিয়ে নিজের মনের লালসা পুরনের জন্য গোপনে পরকিয়া করা।

 

পরকিয়ার কারণ :

পরকিয়ার কারণ নিয়ে নানা মত আছে। সেগুলো হলো :

প্রচলিত ধারণা:

সাধারণ মানুষের ধারণা:

স্ত্রীর পরকিয়ার  কারণ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণাগুলো নিম্নরূপ :

·        স্বামী তার স্ত্রীকে যথেষ্ট সময় না দেয়া।

·        স্বামীর যৌন অক্ষমতা।

·        স্বামীর পুরুষ লিঙ্গ ছোট হওয়া।

·        সহবাসের সময় স্বামীর স্থায়িত্ব কম হওয়া।

·        সহবাসে স্বামীর পুরুষালি আচরনে ঘাটতি থাকা।

·        স্বামী তার স্ত্রীকে ভাল না বাসাা।

·        স্ত্রীকে মানসিক কষ্ট দেয়া।

·        স্ত্রীকে জ্বালাতন করা।

·        ভাল কাপড় চোপড় কিনে না দেয়া।

·        পছন্দের খাবার কিনে না দেয়া।

·        ভাল কোথাও ঘুরতে না নেয়া।  

·        স্বামীর চেহারা সুন্দর না হওয়া।

·        স্বামী পরিপাটি না হওয়া।

·        স্বামীর জীবন আচরণ পছন্দ না হওয়া।

·        স্বামীর কথাবার্তা পছন্দ না হওয়া।

·        স্বামীর আয় কম হওয়া।

·        স্ত্রীর পূর্বে প্রেম থাকা।

·        স্বামীর পরকিয়া প্রেম থাকা বা স্ত্রী কর্তৃক সন্দেহ করা।

 

স্বামীর পরকিয়ার  কারণ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণাগুলো নিম্নরূপ :

·        স্ত্রী স্বামীকে যথেষ্ট সময় না দেয়া।

·        স্ত্রীর চেহারা সুন্দর না হওয়া।

·        স্ত্রী উচ্ছ্বল ও চঞ্চল না হওয়া।

·        স্ত্রীর মধ্যে মেয়েলী স্বভাবে ঘাটতি থাকা।

·        স্ত্রী স্বামীকে ভাল না বাসা।

·        স্ত্রী নোংরা থাকা।

·        স্ত্রী সাজগোজ না করা।

·        স্ত্রী সহবাসের সময় স্বামীকে তৃপ্তি দিতে না পারা।

·        স্ত্রী পরিপাটি না থাকা।

·        স্ত্রীর কথাবার্তা সুন্দর না হওয়া।

·        স্ত্রী স্বামীর সাথে ঝগড়া করা।

·        স্বামীর পূর্বে কোন প্রেম থাকা।

·        স্ত্রীর পরকিয়া করা।

কিন্তু এসব ধারণা অন্ধকারে ভূত দেখার মতো। সেখানে ভুত থাকতেও পারে নাও থাকতে পারে। আলো জ্বালালেই প্রকৃত ঘটনা ধরা পড়বে।

 

স্ত্রীর পরকিয়ার বাস্তব কারণ হচ্ছে :

·        স্ত্রীর বাবা-মার পরকিয়া প্রেম থাকা।

·        স্ত্রীর ভাই-বোনের পরকিয়া প্রেম থাকা।

·        স্ত্রীর একাধিক প্রেম করার অভিজ্ঞতা থাকা।

·        স্ত্রী শিশুকালেই তার সতীত্ব হারিয়ে ফেলা।

·        জীবনে একাধিক বার ধর্ষিত হওয়া।

·        বিয়ের আগেই বহু ছেলের সাথে অবৈধ সহবাস করা।

·        ব্যক্তিত্বহীন হওয়া।

·        সামাজিক ও পারিবারিক মূল্যবোধের অভাব।

·        ধর্মীয় মূল্যবোধের অভাব।

·        বহু ছেলের সাথে সহবাসের নেশায় নেশাগ্রস্থ হওয়া।

·        বাবা-মা জোর করে বিয়ে দেয়া।

·        নিজের অপছন্দে বিয়ে করা।

·        নিজের সতীত্বের মূল্য না বুঝতে পারা।

·        জিনগত কারণে বেশ্যা/পতিতা হিসেবে জন্মগ্রহণ করা।

 

স্বামীর পরকিয়ার বাস্তব কারণ হচ্ছে :

·        স্বামীর বাবা-মার পরকিয়া প্রেম থাকা।

·        স্বামীর ভাই-বোনের পরকিয়া প্রেম থাকা।

·        স্বামীর বন্ধুরা চরিত্রহীন হওয়া।

·        স্বামীর একাধিক প্রেম করার অভিজ্ঞতা থাকা।

·        স্বামীর ছোট বেলাতেই বড় মেয়েদের দ্বারা ধর্ষিত হওয়া।

·        বিয়ের আগেই বহু মেয়ের সাথে অবৈধ সহবাস করা।

·        ব্যক্তিত্বহীন হওয়া।

·        সামাজিক ও পারিবারিক মূল্যবোধের অভাব।

·        ধর্মীয় মূল্যবোধের অভাব।

·        বহু মেয়ের সাথে সহবাসের নেশায় নেশাগ্রস্থ হওয়া।

·        বাবা-মা জোর করে বিয়ে দেয়া।

·        নিজের অপছন্দে বিয়ে করা।

·        নিজের চরিত্রের মূল্য না বুঝতে পারা।

·        জিনগত কারণে পুরুষ পতিতা হিসেবে জন্মগ্রহণ করা।

 

তবে যত কথাই বলি না কেন স্বামী বা স্ত্রীর পরকিয়া প্রেমের মূল কারণ হচ্ছে-

 “ছোট বেলাতে তারা বড়দের দ্বারা বা অন্য যে কোন ভাবে বা যে কোন কারণে অবৈধ যৌন কাজে জড়িয়ে পড়ায় যৌনতার প্রতি নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়া”

 

এর স্ব-পক্ষে যুক্তি  সমূহ :

 

·       নেশা একটি কঠিন জিনিস যা সহজে ত্যাগ করা যায় না। লোকে বলে কুকুরে লেজ সোজা হয় না, ঠিক সেরকমই।

·       ধুমপানকারীরা বিষয়টা সহজেই বুঝতে পারবেন। জীবনে কতশত বার প্রতিজ্ঞা করেছেন আর ধুমপান করবেন না, কিন্তু ছাড়তে পারেনে নাই।

·       যারা গাঁজা, মদ, হেরোইন  গ্রহণ করেছে তাদের নেশার সাথে পরকিয়া প্রেমের নেশাকে তুলনা করা যায়।

·       এদেশে যুগে যুগে লক্ষ লক্ষ নারী অল্প বয়সেই বিধবা হয়ে গেছে। কিন্তু তাদের মধ্যে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হওয়ার উদাহরণ কমই আছে।

·       স্বামীর অক্ষমতাই যদি পরকিয়ার মূল কারণ হতো তাহলে এদেশে কেউ স্ত্রীকে ঘরে রেখে বছরের পর বছর বিদেশে পড়ে থাকতে পারতো না।

·       নেশা হচ্ছে এমনই বস্তু যা নিয়ে মানুষ সবসময় কল্পনা করে তা-ই তার নেশায় পরিণত হয়।

·       এই নেশার কারনেই মানুষ জঙ্গি হয়ে যায়। মৃত্যুর ঝুকি থাকা সত্ত্বেও সেই পথেই এগিয়ে যায়।

·       পড়ায় নেশার কারণেই অনেক দরিদ্র ছাত্র ভাল ফলাফল করে।

·       লেখায় নেশার কারণেই অনেকে বড় কবি সাহিত্যিক হয়ে উঠেছে।

·       অভিনয়ে নেশার কারণেই অনেকে বড় অভিনেতা হয়ে উঠেছে।

·       নেশাগ্রস্থ হওয়া কঠিন, কিন্তু একবার নেশাগ্রস্থ হয়ে উঠলে আর ত্যাগ করা যায় না।

·       অবৈধ সহবাসে আনন্দ বেশি। অবৈধ সবকিছুতেই নাকি আনন্দ বেশি।

·       নিজের শরীটা নিজের স্বামী ছাড়া অন্য পুরুষকে কামড়ে হিছড়ে খেতে দেখলে যাদের  মজা লাগে তারাই পরকিয়ায় নেশাগ্রস্থ।

·       পরকিয়ায় নেশাগ্রস্থে মেয়েরা নিজের শরীরটা বহু পুরুষকে ভোগ করানোর আশায় বসে থাকে। যেমন চাকুরীপ্রার্থীরা বসে চাকুরীর আশায়।  

·       নেশা উঠে গেলে আর কোনদিকে তাকানোর হুঁশ থাকে। পরে যা হবার হবে আগে আমাকে ভোগ কর- এমটাই তাদের মাথায় কার করে।