Wednesday, January 18, 2017

নারী নির্যাতন দমন আইনঃ পরিবর্তন এখন সময়ের দাবী Repression of women is now time to change the law demands

বাংলাদেশে প্রচলিত নারী নির্যাতন দমন আইন তৈরি করা হয়েছিল নারীদের নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষার জন্য। প্রকৃতপক্ষে নারীরা নির্যাতনের হাত থেকে কতটা রক্ষা পেয়েছে তা তর্কের বিষয়। কারণ প্রকৃতপক্ষে যে নারীরা নির্যাতনের শিকার হন তারা একেবারেই নিরীহ গোবেচারা ধরনের। যুগ যুগ ধরে নারীরা মুখ বুজে নির্যাতন সহ্য করে এসেছে, এখনো সহ্য করছে। নিজের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে নারীরা নির্যাতন সহ্য করে যাচ্ছে। প্রকৃত নির্যাতিতা নারীরা কালেভদ্রে আইনের আশ্রয় নেয়।

নারীদের প্রতি সমাজের সবাই সেংবেদনশীল। কারণ নারীরা মায়ের জাত। কোথাও নারী নির্যাতনের গন্ধ পেলেই পুলিশ, আইনজীবি, আদালত, মহিলা সমিতিসহ আপামর সাধারণ মানুষ নারীদের পক্ষ নেন। আর এই সুযোগই কাজে লাগাচ্ছে এক ধরনের বেহায়া নারী গোষ্ঠী। তারা সংসার জীবনে স্বামী-সন্তানদের কে সুখে থাকতে দেয় না, নিজেও সুখে থাকে না। যদিও তাদের বেশিরভাগের ভাগ্যই অন্ধকারে নিপতিত হয় তথাপি তারা পুরুষ ও শিশুদেরকে চরম নির্যাতনের কারণ হয়ে দাড়ায়।

আজকাল নারী নির্যাতন আইনে  যত মামলা হয় তার প্রায় 95%  মামলাই মিথ্যা ও বানোয়াট। স্বামীর অবাধ্য এসব নারীরা যেমন লোভী, অহংকারী আর বোকা তেমনি তাদের অধিকাংশই চরিত্রহীনা। পরকীয়া প্রেমে বাধা হয়ে দাড়ালে তারা নিজের সন্তানকেও খুন করে।

এসব নারীদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার সুযোগ নেই পুরুষ ও শিশুদের। তালাক দিতে গেলেই এক গাদা দেনমোহর পরিশোদ সহ নারী নির্যাতন দমন আইনে মিথ্যা মামলায় পড়ে হাজত খাটা, লক্ষ লক্ষ টাকার অপচয়, মানসিক বিপর্যয়, লোক লজ্জা স্বীকার করতে হয়।

এক্ষেত্রে শিশুরা পড়ে দারুন বিপাকে। মা তালাক, বাবা হাজতে। শিশুদের কাছে পৃথিবীটা একটা নরক বলে মনে হয়।

এসব বাজে মেয়েরা যখন মিথ্যা মামলার আশ্রয় নেয় তখন পুলিশের মন তাদের জন্য হুহু করে কেঁদে ওঠে।  আদালত নারীদের মিথ্যা চোখের পানিতে গলে যায়। বিষয়টা এমনই যে, বাইবেল মিথ্যা হতে পারে কিন্তু নারীদের নালিশ মিথ্যা নয়।

এভাবে নারী নির্যাতন দমন আইনের চরম অপব্যবহারের ফলে সমাজে অস্থিরতা বিরাজ করছে। বহু শিশু নিজের পিতা-মাতার হাতে খুন হচ্ছে। বহু মানুষ কোন উপায় না দেখে পরকীয়ায় আসক্ত স্ত্রী ও নিজের সন্তান কে খুন করে আত্মহত্যা করছে।

নারী নির্যাতন আইন অবিলম্বে সংস্কার বা পরিবর্তন করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে মনে করে সাধারণ মানুষ।

No comments:

Post a Comment